যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগে সৌদি যাচ্ছেন জেলেনস্কি

প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২৫

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরুর আগে, সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (১০ মার্চ) রিয়াদ যাচ্ছেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করবেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মোহাম্মদ বিন সালমান ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিভিন্ন মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছেন। যেমন: বন্দি বিনিময়ে সহায়তা এবং গত মাসে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার আয়োজন।মঙ্গলবার আলোচনায় বসবেন মার্কিন এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ওভাল অফিসে জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এটি হবে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। আলোচনা ইউক্রেনীয় খনিজ চুক্তি এবং যুদ্ধ শেষ করার উপায় নিয়ে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলে তার প্রধান সচিব, পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা থাকবে।

একসময় ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, তার যুদ্ধকালীন নীতিগুলো নাটকীয়ভাবে বদলে ফেলেছে। যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির জন্য মস্কোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে এবং কিয়েভের জন্য সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করেছে।

এক পোস্টে লিখেছেন জেলেনস্কি, আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা সৃজনশীল আলোচনার জন্য পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা এবং সম্মত হওয়ার আশা করছি।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার উদ্দেশ্য হল একটি শান্তিচুক্তির জন্য ফ্রেমওয়ার্ক স্থাপন এবং একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির কাঠামো তৈরি করা।

অবশ্য মস্কো সাময়িক যুদ্ধবিরতির ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তার মতে, এটি কিয়েভকে সময় কিনে দেওয়ার এবং তার সামরিক পতন রোধ করার প্রচেষ্টা মাত্র।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই জেলেনস্কি তার ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন যাতে তারা আরও সহায়তা বাড়ায়। কারণ কিয়েভের যুদ্ধে অবস্থান দুর্বল হচ্ছে এবং রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল থেকে তাদের পিছু হটার চাপ বাড়ছে।