

পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি
রমজান মাসে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৭-৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার শরীরকে রিচার্জ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করবে। ঘুমের চক্র ভালো রাখতে তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে ক্যাফিন এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং পরের দিন আপনাকে ক্লান্ত বোধ করাতে পারে।
হাইড্রেশন
রোজা রাখার সময় হাইড্রেটেড থাকা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য সূর্যোদয়ের আগে পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। রোজা শুরু করার আগে ৪-৫ গ্লাস পানি এবং ইফতারের পরে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন, যাতে হাইড্রেটেড থাকতে পারেন। সোডা বা এনার্জি ড্রিংকের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো আপনাকে আরো তৃষ্ণার্ত ও ডিহাইড্রেটেড করে তুলতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
রোজা রাখার অর্থ এই নয় যে আপনাকে ব্যায়াম বাদ দিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার মেজাজ উন্নত করতে, মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। যখন আপনি হাইড্রেটেড থাকেন এবং আপনার শরীরে খাবার থাকে তখন ইফতারের পরে ব্যায়াম করা ভালো। খুব বেশি ক্লান্ত না হয়ে সুস্থ থাকার জন্য হাঁটা বা যোগব্যায়ামের মতো হালকা কার্যকলাপে মনোনিবেশ করুন।
নিজের যত্ন
রোজা আপনার শরীর ও মন উভয়ের জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিশ্রাম ও শিথিলতার মাধ্যমে নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে সাহায্য করার জন্য আপনি ধ্যান করতে পারেন। নিজেকে খুব বেশি স্ট্রেস দেবেন না। রমজান মাসে ভারসাম্যপূর্ণ ও সুস্থ থাকার জন্য নিজের যত্ন নেওয়া জরুরি।
পুষ্টিকর খাবার খান
রমজানে ভাজা খাবার বা মিষ্টির মতো ক্যালরিযুক্ত ভারী খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন। ফল, শাক-সবজি ও গোটা শস্য বেছে নিন। এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেবে এবং সারা দিন পেট ভরিয়ে রাখবে। সাহরি ও ইফতারের খাবারে ভালো কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন।