অনেকেই ইফতারে চিনি মেশানো শরবত পান করেন। ফলে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইফতারে ডায়াবেটিস রোগীরা চিনির বিকল্প হিসেবে অনেক কিছুই খেতে পারেন। যেমন-
মিষ্টির অভাব পুরণে ব্যবহার করতে পারেন খেজুরও। ফল হিসেবে খেজুর খুবই স্বাস্থ্যকর এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে অতিরিক্ত কোন ঝুঁকির সৃষ্টি করেনা। খেজুর যে কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
বাদামী চিনিকে ইংরেজিতে বলা হয় ব্রাউন সুগার। আর আঞ্চলিকভাবে এটিকে আমরা সবাই লাল চিনি হিসেবেই চিনি। এটিও স্বাদের দিক দিয়ে সাদা চিনির চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তবে ক্ষতির দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। এই উপাদানটিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন। এ চিনিও সাদা চিনির মতো যে কোন খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
মিষ্টির অভাব পূরণে চিনির উৎকৃষ্ট বিকল্প ধরা হয় মধুকে। এক কাপ চা অথবা কফিতে এক চামচ সাদা চিনির চেয়ে এক চামচ মধু অনেক উপকারী। মধু যে কেবল স্বাস্থ্যের জন্যেই ভালো তা নয়, এটি আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
খাবারের সঙ্গে মিষ্টান্ন হিসেবে ফলের জুস খেতে পারেন। যেটি চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা যে কোনো খাবারের চেয়ে অধিক স্বাস্থ্যকর বলে জানান স্বাস্থ্যবিদরা। একগ্লাস ফলের জুসে যে পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন থাকে তা স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী।
আখ থেকেই উৎপাদিত হয় গুড়। গুড় এই উপমহাদেশের মানুষের অধিক পছন্দের একটি উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে চা অথবা কফির সঙ্গে এক টুকরো গুড় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি আপনার রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মোঃ সোহান মাহমুদ