

রোজার সময় পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস গ্লুকোজ হোমিওস্টেসিস ও গ্লুকোরেগুলেটরি প্রক্রিয়াগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে ভিসেরাল ফ্যাট, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডস ও কোলেস্টেরল, খালি পেটের ইনসুলিন ও গ্লুকোজের অসামঞ্জস্যের কারণে শরীরে বিপাকক্রিয়ায় পরিবর্তন দেখা দেয়। এ কারণে নানা ধরনের ফলাফল খেয়াল করা যায়। যেমন—গবেষণায় দেখা গেছে, রোজার প্রথম ২ সপ্তাহে প্রায় অর্ধেক (৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ) মানুষের ওজন বাড়ে। কারণ, দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে এনার্জি ও পুষ্টির চাহিদা বেশি থাকে। ফলে যাঁদের ইফতারে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার থাকে, তাঁদের ওজন বাড়বে। উচ্চ ক্যালরির খাবার বলতে অতিরিক্ত চিনি বা এ–জাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, বিরিয়ানি, তেহারি, ফ্রায়েড রাইস, পায়া, নেহারি, কিমা পরোটা, মাংসের চর্বিযুক্ত হালিম, বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড (যেখানে ডাবল চর্বি, মেয়োনেজ, মার্জারিন, বাটার, চিজ মেশানো থাকে), প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার, এমনকি অতিরিক্ত তেলে ভাজা ইত্যাদি খাবারের কথা বলা হয়েছে। এধরনের খাবার প্রতিদিন খাওয়া এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া, অন্যদিকে রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া, একইভাবে সাহ্রিতে ক্যালরিবহুল খাবার ও পরিমাণে বেশি খাওয়া, তারপর দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকা, পাশাপাশি রোজায় শারীরিক পরিশ্রম কম করার কারণে শরীরে ক্যালরি জমা হওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়ে ওজন না কমে বেড়ে যেতে থাকে।
ওজন কমে যাওয়া
রমজানের শেষ ২ সপ্তাহে সাধারণত রোজাদারদের ওজন কমতে (গড়ে আড়াই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত) থাকে—এ তথ্যও গবেষণা করে পাওয়া। এ সময়ে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের ওজন কমতে থাকে। এটা মূলত রোজার সময়কার ঘুমের ধরন, বিপরীত ধরনের খাওয়ার অভ্যাস ও সময়ের পরিবর্তনে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে গভীর রাতে খাবার খাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়। ফলে সাহ্রি না খাওয়ায় শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হয়ে ওজন হ্রাস পায়।